Thursday 13 August 2015

‘যারা ব্লগার হত্যাকারীদের তাৎক্ষণিক গ্রেফতার চান, তারা বোকা’

ব্লগার হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার যারা দাবি করছেন তাদের কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে জয় লিখেছেন, ‘আমরা কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছি এবং তদন্ত কার্যক্রম এখনও চলছে। আমরা বেশ কিছু তথ্য উন্মুক্ত করিনি। যেন তদন্তগুলো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। যেসব লোক তাৎক্ষণিক গ্রেফতার দাবি করেন, তারা অবুঝ বোকা লোক।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে জয় বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমাদের সফল যুদ্ধের কারণেই ব্লগারদের এই হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনাগুলো ঘটেছে। সন্ত্রাসীরা ব্যাপক আকারে হামলা চালাতে ব্যর্থ হয়েই এসব বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়েছে।’ এ ধরনের একক পরিকল্পনাগুলো উন্মোচন করাটা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর জন্য অপেক্ষাকৃত বেশি কঠিন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর স্থগিত!

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার  লন্ডন সফর কার্যক্রমের সম্পৃক্ত ও  উপদেষ্টা সাবিহ উদ্দিন আহমদ বলেন, আমি শুনেছি, বোধ হয় স্থগিত। আপনি নিশ্চিত হতে চাইলে, মারুফ কামালকে ফোন করুন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৬ টা ২ মিনিটের সময়  বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি এমন তথ্য জানান।
বিষয়টি জানতে খালেদা জিয়ার প্রেস সেক্রেটারি মারুফ কামাল খানকে ফোন করা হলে তাকে
পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে জানতে চেয়ে যোগাযোগ করা হলে খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ জন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আমি তো জানতে পারলাম, তার সফরের ভিসা, বিমানের টিকিট সব কিছু চূড়ান্ত হয়ে আছে। তা হলে কেন স্থগিত হবে?
তবে এ প্রসঙ্গে গুলশান কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, এটা তো এখনই বলার সময় নয়। প্রেসকে জানানো হবে বিস্তারিত। ঠিক কী কারণে সেটি হয়েছে, এ বিষয়েও তিনি বলেন, এ সব জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, বিএনপি থেকে ইতোমধ্যে বলা হয়েছিল, চোখের  চিকিৎসার জন্য শুক্রবার রাতে এমিরেটস এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন খালেদা জিয়া। এ জন্য গত মঙ্গলবার তিনি ভিসা সেন্টারে গিয়ে ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ যাবতীয় প্রক্রিয়াও শেষ করেন। এর আগে গতকাল বুধবার ভিসাসহ সফরের যাবতীয় প্রস্তুতিও প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। এর আগে রমজান মাসে সৌদি আরবে ওমরার জন্য প্রস্তুতি নিয়েও হুট করে সফর বাতিল করেন খালেদা জিয়া।

রোববার থেকে হজ ফ্লাইট

আগামী রোববার থেকে হজ ফ্লাইট শুরুর সব প্রস্তুতি শেষ করেছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
বিমানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে এ বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট জেদ্দায় উড়াল দেবে।
একই দিনে দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে ৪১৯ জন, রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে আরও দুটি হজ ফ্লাইট জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে।
এছাড়াও রাত ১১ টা ৫৯ মিনিটে জেদ্দার নিয়মিত ফ্লাইটেও হজ যাত্রীদের পরিবহন করা হবে।
হজ ফ্লাইটের উদ্বোধন করবেন বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন এবং ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান। হজের কার‌্যক্রম বৃহস্পতিবারই উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অন্যান্য বছরের মতো এ বছরেও চট্টগ্রাম এবং সিলেট থেকে হজ্জ-ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে বিমান।
দুই মাস ব্যাপী হজ ফ্লাইট পরিচালনায় এ বছর নিয়মিত ফ্লাইটসহ মোট ২৮৫টি ফ্লাইটে মোট ৫১ হাজার হজযাত্রীকে জেদ্দায় পৌঁছে দেওয়ার কথা রয়েছে বিমানের। এর মধ্যে ২২৪টি ডেডিকেটেড (হজ ফ্লাইট) এবং ৬১টি নিয়মিত ফ্লাইট।
১৬ অগাস্ট থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রি-হজ বা হজের আগে ফ্লাইট রয়েছে ১৪৫টি। এর মধ্যে ডেডিকেটেড ১১৫ এবং নিয়মিত ৩০টি।
হজ ফিরতি ফ্লাইট চলবে ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত। এ সময়ে ১৪০টি ফ্লাইট চলবে, যার মধ্যে ডেডিকেটেড ১০৯ এবং নিয়মিত ৩১টি।
২,৫৭৫ জন সরকারি ব্যবস্থাপনার যাত্রীসহ মোট ৫১০০০ বাংলাদেশি হজপালনের জন্য ক্যারিয়ার হিসেবে বিমানকে ব্যবহার করবেন। হজ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা-জেদ্দা উভয় স্থানেই বিশেষ ব্যবস্থার আয়োজন করেছে।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে প্রায় এক লাখ এক হাজার ৭৫৮ জন হজে যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুই হাজার ৬০০ এবং ৯৯ হাজার ১৫৮ জন যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন।
বাংলাদেশ ও সৌদি আরব সরকারের মধ্যকার চুক্তি অনুসারে অন্যান্য বছরের মতো অর্ধেক যাত্রী পরিবহন করবে বিমান।
গত বছরের মতো এ বছরেও হজযাত্রী পরিবহনে বিমান ব্যবহার করবে বহরে থাকা বোয়িং ট্রিপল সেভেন উড়োজাহাজ ।
- See more at: http://bangla.uttaranews24.com/2015/08/13/78647#sthash.YTufXycH.dpuf

ধনুর শত্রুনাশের যোগ, বৃষের আত্মবিশ্বাসে সফলতা


মেষ: (২১ মার্চ – ২০ এপ্রিল) শুভ রং : সাদা, শুভ সংখ্যা : ২১

সামাজিক ক্ষেত্রে আপনার প্রভাব বাড়বে। কাছের বন্ধুদের মাধ্যমে উপকৃত হবেন। জাতিকারা আর্থিক দিকে হবেন স্বাবলম্বী। প্রেমের জন্য দিনটি শুভ। 

টোটকা: তিনটি খেজুর বাড়ির উত্তর দিকে কিছুটা মাটি খুঁড়ে পুঁতে দিন।

বৃষ: (২১ এপ্রিল – ২১ মে) শুভ রং : সবুজ, শুভ সংখ্যা : ৬
আত্মবিশ্বাস আপনাকে সফল হতে সাহায্য করবে। কর্মে সাফল্য লাভের যোগ আছে। জাতিকাদের নেওয়া উদ্যোগ আজ অভিনন্দিত হবে। প্রেমের ক্ষেত্রে সমস্যা আসতে পারে।

টোটকা: একটি পাত্রে পানিতে জব ভিজিয়ে বিছানার নীচে সারা রাত রাখুন।

মিথুন: (২২মে – ২১ জুন) শুভ রং : সাদা, শুভ সংখ্যা : ৯
দাম্পত্য জীবনে সমস্যা মুক্তির যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রে সুনাম লাভের যোগ। জাতিকাদের ক্ষেত্রে অগ্রজসম কোনো ব্যক্তি সুখবর দিতে পারে। প্রেমযোগ আছে।

টোটকা: একটি পাকা তেঁতুল বাড়ির পূর্বে মাটিতে পুঁতে দিন।

কর্কট: (২২ জুন – ২২ জুলাই) শুভ রং : নীল, শুভ সংখ্যা : ৬
কর্মক্ষেত্রে প্রভাবশালী ব্যক্তির সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার যোগ আছে। জাতিকারা শারীরিক সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুযোগ আসতে পারে। প্রেমযোগ ক্ষীণ।

টোটকা: একটি আদার টুকরো একটি মাটির পাত্রে রেখে ঘরের বাইরে পশ্চিম কোণে সূর্য ডোবার আগে পর্যন্ত রেখে দিন।

সিংহ: (২৩ জুলাই - ২৩ আগস্ট) শুভ রং : সবুজ, শুভ সংখ্যা : ১১ 
কর্মক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগোতে গেলে পদে পদে বাধার যোগ আছে। পারিবারের সঙ্গে আর্থিক বিষয় নিয়ে মতবিরোধ হতে পারে। আঘাতের যোগ আছে। জাতিকাদের নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে কোনো বিশেষ বিষয় নিয়ে দূরত্ব তৈরি হতে পারে। প্রেমযোগ বর্তমান।
 
টোটকা: একটি মাটির পাত্রে কিছুটা চিনি রেখে বাড়ির পশ্চিম কোণে রেখে দিন।

কন্যা: (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর) শুভ রং : বেগুনি, শুভ সংখ্যা : ২
প্রেম অথবা দাম্পত্য সমস্যা আপনাকে মানসিকভাবে চঞ্চল করে তুলবে। কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের জন্য আজকের দিনটি শ্রেয়। তবে পরিস্থিতি বুঝে মেপে কথা বলাই উচিত। জাতিকারা পারিবারিক কাজে দূরে যাত্রা করতে পারেন। অভিভাবকদের শরীর নিয়ে চিন্তায় থাকবেন।

টোটকা: কাক-পক্ষীকে দানা শস্য দান করুন। 

তুলা: (২৪ সেপ্টেম্বর  – ২৩ অক্টোবর) শুভ রং : বাদামি, শুভ সংখ্যা : ৭ 
ঝগড়া এড়িয়ে চলুন, না পারলে ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দেবে। সম্পত্তির বিষয় নিয়ে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করতে পারে। জাতিকারা সহজেই পারিবারিক সমস্যার সমাধান করবেন। অধিক ব্যয় করার যোগ দেখা যাচ্ছে। প্রেমযোগ আছে।

টোটকা: একটি ফল বাড়ির পশ্চিম দিকের কোণে রেখে দিন।

বৃশ্চিক: (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর) শুভ রং : নীল, শুভ সংখ্যা ৯ 
মিথ্যে অভিযোগে আপনার ভাবমূর্তির ক্ষতির চেষ্টা হবে। বন্ধুর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার যোগ দেখা যাচ্ছে। সন্তানের শিক্ষা নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন। জাতিকাদের উপর পারিবারিক আস্থা বাড়বে। কর্মক্ষেত্রে নতুন দায়িত্ব পাওয়ার যোগ আছে। প্রেমযোগ শুভ।

টোটকা: সদর দরজার সামনে মাটির ঘটে কিছুটা সাদা ফুল ডাবের জলে ভিজিয়ে রাখুন।

ধনু: (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর) শুভ রং : সাদা,  শুভ সংখ্যা : ৭ : ৬
নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে অন্যকে সাহায্য করার সুযোগ আসবে। নিঃস্বার্থভাবে কোনো কাজ করেও সমালোচনার শিকার হতে পারেন। জাতিকারা বন্ধুস্থানীয় কোনো ব্যক্তির বুদ্ধিতে উন্নতি করতে পারেন। শত্রুনাশের যোগ আছে।

টোটকা: সাদা পোশাক ব্যবহার করুন। 

মকর: (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি) শুভ রং : লাল, শুভ সংখ্যা : ১৬
ব্যবসার কথাবার্তা এগোতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হবেন। পরিবারে অভিভাবকের সাহায্যে দাম্পত্য সমস্যার সমাধান হবে। জাতিকারা উন্নতির সুযোগ পাবেন। স্নেহভাজনদের ব্যবহারে হতাশ হতে পারেন। প্রেমযোগ শুভ।

টোটকা: ঘরে উপাসনার জায়গায় সুগন্ধি ধুপ জ্বালিয়ে রাখুন। কাজের জায়গায় সুগন্ধি ফুল রাখুন।

কুম্ভ: (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি) শুভ রং : বেগুনি, শুভ সংখ্যা : ৬
বন্ধুর পরামর্শ মেনে সমস্যা কমার বদলে বাড়তে পারে। জাতিকারা পরিষ্কার কথা বলার ফলে সমালোচিত হতে পারেন। মানসিক কষ্ট পাওয়ার যোগ দেখা যাচ্ছে। প্রেম নিয়ে সমস্যা থাকবে।

টোটকা: একটি হলুদ সুতির কাপড়ে কিছুটা সরষে ও তিল পুটুলি করে বেঁধে জলে ভাসিয়ে দিন।

মীন: (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ) শুভ রং : সাদা, শুভ সংখ্যা : ২
ভাই-বোনদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে। কিছুটা কমবে পারিবারিক সমস্যা, তবে কর্মক্ষেত্রে সমস্যার যোগ আছে। জাতিকারা ক্ষমতার ভ্রান্ত ব্যবহারের শিকার হতে পারেন। কোনো ধরনের বিতর্কের মধ্যে না যাওয়াই শ্রেয়। প্রেমযোগ আছে।
  
টোটকা: তৃণভোজী প্রাণীদের খাদ্য দান করুন। পাখিদের শস্য দান আপনার জন্য অতি শুভ।

বাড্ডায় গুলিতে আ.লীগ নেতাসহ নিহত ২

রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় দুর্বৃত্তের গুলিতে দু’জন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় কমার্স কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুজনের নাম শামসু মোল্লা ও মানিক। এ ঘটনায় আরও দু’জন আহত হন। তাদেরকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
শামসু মোল্লা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মানিক উত্তর বাড্ডার একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মকর্তা বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হলে শামসু মোল্লা ও মানিকের মৃত্যু হয়। আহত দুই জনের মধ্যে আব্দুস সালামকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত গামাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ জলিল। তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হচ্ছে।এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত আব্দুস সালাম জানিয়েছেন, তারা চারজন ১৫ আগস্ট শোক দিবস পালনের বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন। এসময় দুর্বৃত্তরা তাদের গুলি করে।

চীনে বিস্ফোরণস্থলে রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ দল

চীনের তিয়ানজিন শহরের বিস্ফোরণস্থলে সামরিক বাহিনীর ২০০ সদস্যের একটি রাসায়নিক বিশেষজ্ঞদল পাঠিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার রাতে তিয়ানজিন বন্দরের কাছে একটি রাসায়নিকের গুদামে পরপর দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় অন্তত ৫০ জনে। আর আহতের সংখ্যা ৭০০ ছাড়িয়ে যায়।
বিস্ফোরণের কারণ এখনও জানা যায়নি।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জানায়, ওই এলাকার বাতাসে তীক্ষ্ণ গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে এবং সেখানকার মানুষেরও চোখে সমস্যা হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করছেন। এদিকে প্রায় সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে রাত কাটাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জিনহুয়া জানাচ্ছে যে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের প্রায় ৩০ ঘণ্টা পরও গুদাম থেকে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি বেরুচ্ছে। বিস্ফোরণস্থলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে, আহতদের উদ্ধার করতে হিমশিম খাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা।

স্থানীয় হাসপাতালগুলোকেও শত শত আহত লোককে সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সিয়াজোই হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আহতদের অনেকের গায়ে ছোট ছোট কাঁচের টুকরো লেগে আছে; কারও হয়তো মাথায় আঘাত লেগেছে কারও হাত-পা ভেঙেছে। গুরুতর অবস্থায় রয়েছে ৭১ জন।

কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে তিয়ানজিন শহরের শিল্প এলাকায়- যেখানে গাড়ির কারখানা, বিমান সংযোজন কারখানা, বিভিন্ন ধরনের উৎপাদন শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং গবেষণা সংস্থার দপ্তর ছিল। গুদাম থেকে এখনও কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি উঠছে। কর্তৃপক্ষ বলছে 'বিস্ফোরকের একটি' চালান আসার সময় বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।

এদিকে চীনা সামরিক বাহিনীর একটি রাসায়নিক বিশেষজ্ঞ দলের প্রায় ২০০ জনেরও বেশি সদস্য পাঠানো হয়েছে বিস্ফোরণস্থলে। উদ্ধারকর্মীদের বলা হয়েছে তারা যেন শরীর সুরক্ষা কারার মতো পোশাক পরে কাজ করেন। রুইহাই লজিস্টিকস কম্পানির যে গুদামে বিস্ফোরণ ঘটেছে সেখানে সোডিয়াম সায়ানাইডের মত আরো অনেক বিষাক্ত রাসায়নিক আদান-প্রদান হয়।

চীনের পরিবেশ সুরক্ষা ব্যুরোর প্রধান ওয়েন উরুই এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনার পর তিয়ানজিনের বাতাস এবং পানিতে দূষণের মাত্রা কতটা- তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, "বেশিদিন ধরে বিষাক্ত বাতাসে শ্বাস নেওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি এ মুহূর্তে জায়গাটিতে দূষণের মাত্রা সে পর্যায়ে পৌঁছায়নি।"

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির পত্রিকা দ্য পিপলস ডেইলি বলছে, উদ্ধারকর্মীরা ওই জায়গায় মজুদ ৭০০ টন সোডিয়াম সায়ানাইড সরানোর চেষ্টা করছে।  রাসায়নিকটিকে বিষমুক্ত করতে হাইড্রোজেন প্রিঅক্সাইডও প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে পত্রিকাটি জানায়।

সরকারি চালে ৬৬০ কোটি টাকা নেতাদের পকেটে!

বাজারে চালের দাম ২৬ টাকা কেজি। সেই চালই খাদ্য অধিদপ্তর কিনছে ৩২ টাকা কেজি দরে। বাজার থেকে কিনে কোনো রকমে সরকারি গুদামে পৌঁছাতে পারলেই কেজিতে লাভ ছয় টাকা। খাদ্য অধিদপ্তর ১১ লাখ টন চাল কিনবে। কাজেই প্রতি কেজিতে ছয় টাকা হিসাবে প্রায় ৬৬০ কোটি টাকা জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের পকেটে চলে যাবে। কারণ তাৎক্ষণিক লাভের এই কারবারটি একচেটিয়াভাবে করছে ক্ষমতাসীন দলের জেলা-উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
অথচ এ চাল সরবরাহ করার কথা মিল মালিকদের। কিন্তু নেতাকর্মীদের দাপটে মিলাররা চাল সরবরাহ করতে পারছেন না। আবার স্থানীয় বাজার থেকে কেনা এসব চাল মানসম্পন্নও নয়। অথচ সরকারি গুদামে ঢোকাতে হলে চালের আর্দ্রতা, ভাঙা চালের পরিমাণসহ বিভিন্ন নির্দেশনা মানতে হয়। রাজনৈতিক নেতারা সেই নির্দেশনা না মেনেই চাল নিতে বাধ্য করছেন স্থানীয় খাদ্য কর্তৃপক্ষকে। নিম্নমানের চাল গ্রহণ করতে আপত্তি করলেই জেলা-উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাদের ওপর নেমে আসছে নির্যাতন। কিল, ঘুষি থেকে শুরু করে খাদ্য কর্মকর্তাদের কর্মস্থল থেকে মেরে নিজের জেলায় পাঠিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে। ভয়ভীতি দেখিয়ে কাজ না হলে রক্তাক্ত ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। মাঠপর্যায়ের রাজনৈতিক নেতারা এসব ঘটনা ঘটালেও পরিস্থিতি জটিল হলে নেপথ্য থেকে বের হয়ে আসেন মন্ত্রী-এমপিরা। এ পর্যন্ত সাত জেলার ১১টি খাদ্যগুদামের কর্মকর্তাদের শারীরিকভাবে নাজেহাল করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (কারিগরি) মো. আলাউদ্দিনকে গত ২৮ জুলাই মেরে রক্তাক্ত করা হয়। আরো তিনজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় স্থানীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। আনোয়ার হোসেনের আরো ১০ সহযোগীকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারে আলাউদ্দিন বলেছেন, আনোয়ারের নেতৃত্বে  কিল-ঘুষি মেরে তাঁকে রক্তাক্ত করা হয়। এ সময় গুদামের অন্য কর্মকর্তারা এগিয়ে এলে তাঁদেরও মারধর করা হয়। এ ছাড়া কারিগরি খাদ্য কর্মকর্তা শরিফা আক্তার শিমুকে গালাগাল করে খাদ্যগুদাম থেকে বের করে দেওয়া হয়। খাদ্যগুদামে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য তাঁদের সবাইকে একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
একই কারণে গত ৯ জুন হবিগঞ্জের খাদ্য পরিদর্শক আবদুল বারেককে লাঞ্ছিত করা হয় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হলে তিনি থানায় জিডি করেন। এরপর তাঁকে আপসে যেতে বাধ্য করা হয়। গম কেনা নিয়ে গত ১৮ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার গাংনী খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফুলজামাত আলীকে মারধর করে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায়ও মামলা করলে আপসের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। গত ২ জুলাই জয়পুরহাট জেলার সদর উপজেলার খাদ্যগুদামের সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। পরে আপসে বাধ্য করা হয়েছে। গত ২৩ জুন পাবনা জেলার বড়ালব্রিজ খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিতোষ কুমারকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। ২৫ জুন পাবনা সদর উপজেলার খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীনুর আলমকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। গত ২০ জুন নাটোর জেলার সদর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামানকে গুলি করা হয়েছে। তিনি ভয়ে মামলা করতে যাননি। রাজশাহী জেলার পুড়িয়া খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। একই দিনে নওহাটা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান লাঞ্ছিত হন। গত ৬ মে রাজশাহী জেলার তানোর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মইনুল হোসেনকে লাঞ্ছিত করা হয়। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ক্ষেতুর রোড খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমাজউদ্দিনকে কুপিয়ে জখম করা হলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
খাদ্য পরিদর্শক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা নিরাপদে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে চাই। কিন্তু যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে সেটা করতে পারছি না। খাদ্য পরিদর্শকসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে কাজ করছেন। নির্দিষ্ট করে আসামির নাম দিয়ে মামলা করার পরও তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। উল্টো মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। ইরি-বোরো ধান ও চাল এবং গম সংগ্রহের সময় ১১টি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে। এসব সন্ত্রাসী হামলায় ১৪ জন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। তিনজন কর্মকর্তাকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। এসব ঘটনার বেশির ভাগই স্থানীয়ভাবে আপসরফা করতে বাধ্য করা হচ্ছে। মামলা হলেও তা প্রত্যাহারের জন্য বিভিন্ন মহল থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে।’
বাংলাদেশ চালকল মালিক সমিতির সভাপতি লায়েক আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা মিলারদের মাধ্যমেই সরকারি গুদামে চাল দিচ্ছে। এই চাল সরবরাহে এক ধরনের অরাজকতা চলছে। এখানে অনিয়মই নিয়মে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না।’
দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনার প্রতিবাদ করার জন্য খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন সংগঠন এক হয়ে একক সংগঠন ‘খাদ্য বিভাগীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’ গঠন করেছে। খাদ্যগুদামের কর্মকর্তাদের ওপর এসব নির্যাতনের প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর খাদ্য অধিদপ্তরে বিক্ষোভ করেছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে রাজধানীর বিভিন্ন খাদ্যগুদামের কর্মকর্তারাও যোগ দেন। বিক্ষোভ শেষে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফয়েজ আহমদকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে ময়মনসিংহে হামলার ঘটনা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘সর্বশেষ ০৭-০৮-২০১৫ তারিখে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও ময়মনসিংহ জেলা খাদ্য পরিদর্শক সমিতির নেতাদের ডেকে নিয়ে ধর্মমন্ত্রীর ভাই পরিচয় দানকারী দুই ব্যক্তি অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং শুক্রবারের মধ্যে মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়; অন্যথায় বাদীসহ অন্য কর্মকর্তাদের ময়মনসিংহ থেকে মেরে বিতাড়িত করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।’
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফয়েজ আহমদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে ইস্যুতে আন্দোলন করছে তা খাদ্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। আমি তাদের ধৈর্য ধরতে বলেছি।’
চলতি বোরো মৌসুমে খাদ্য অধিদপ্তর ১১ লাখ টন বোরো চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। প্রতি কেজির দর নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ টাকা। গত ১ মে থেকে বোরো সংগ্রহ করছে খাদ্য অধিদপ্তর। এ সংগ্রহ অভিযান চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। গত সোমবার পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৬৫ ভাগ বোরো চাল সংগ্রহ হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। অথচ খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, যে মানের চাল সংগ্রহ চলছে সেই মানের চালই বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৬ টাকা কেজি দরে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের গত ১১ আগস্টের দৈনিক খাদ্যশস্য পরিস্থিতির সারসংক্ষেপেও বলা হয়েছে, বাজারে মোটা চাল ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই দরে চাল বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন জেলার ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বাজার থেকে এসব চাল কিনে সরকারি খাদ্যগুদামে সরবরাহ করছে। ২৬ টাকায় এসব চাল কিনে গুদামে দেওয়া হচ্ছে ৩২ টাকা দরে। অনেক জেলা-উপজেলায় টিআর কর্মসূচির চাল আরো কম দামে কিনে এগুলো চড়া দামে সরকারি গুদামে সরবরাহ করা হচ্ছে। টিআর কর্মসূচির চাল সাধারণত ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে ওই টাকা দিয়ে টিআর প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।