অবসরের পথে থাকা কুমার সাঙ্গাকারার প্রতি সংগ্রামী অভিনন্দন জানিয়ে তাকে এ যাবতকালে দ্বীপ রাষ্ট্রটির ‘সবচেয়ে বড় ব্যাটসম্যান’ হিসেবে অভিহিত করেছেন শ্রীলংকা দলের সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে।
আগামী বুধবার শুরু হতে যাওয়া ভারতের বিপক্ষে তিন টেস্ট সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন টেস্টে ১২ হাজার এবং ওয়ানডেতে ১৪ হাজারের বেশি রান সংগ্রহকারী সাঙ্গাকারা।
দীর্ঘ দিনের সতীর্থের প্রতি সংগ্রামী অভিনন্দন জানিয়ে ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া একান্ত এক সাক্ষাৎকারে সাবেক লংকান অধিনায়ক জয়াবর্ধনে বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করেই বলছি, এ যাবতকালে শ্রীলংকার সেরা ব্যাটসম্যান সাঙ্গাকারা। আমার মত অধিকাংশ শ্রীলংকানের মতেই অরবিন্দ ডি সিলভা একজন সেন্টিমেন্টাল ফেভারিট হিসেবে বিবেচিত হবেন। তবে নাম্বারের দিক থেকে একমাত্র সাঙ্গাকারই ফেনোমেনাল কিছু অর্জন করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা ৬০ এর বেশি (টেস্টে ৩৮ ওয়ানডেতে ২৫)। এই অবিশ্বাস্য সংখ্যাগুলোর দিকে তাকান।’
নিজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় ২৫ হাজারের কাছাকাছি রান করা জয়াবর্ধনে বলেন, সাঙ্গাকারা সঠিকভাবে চিন্তা করেই বাউন্ডারি মারেন এবং লংকার ভবিষ্যত ক্রিকেটারদের জন্য বাস্তবায়নযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘কুমারের সবচেয়ে বড় গুন বা গ্রেটনেস হচ্ছে যে কোনো বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে সকল প্রকার কন্ডিশনেই রান করার সক্ষমতা। সত্যিই ভেবে-চিন্তে নিশ্চিত করেই তিনি বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেন এবং ভবিষ্যত ক্রিকেটারদের জন্য কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা বাতলিয়ে দিয়েছেন।
‘আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে স্বল্প কিছু সংখ্যক ব্যক্তি আছেন যারা সব ক্ষেত্রেই এ ধরনের গ্রেটনেস অর্জন করতে পেরেছেন। হতে পারে এটা মাঠে পারফরমেন্স দিয়ে অথবা ব্যবহার দিয়ে। কুমার সেই ধরনেরই একজন খেলোয়াড়। তার শূন্য স্থান পূরণ হতে কিছু সময় লাগবে। আমি মনে করি তাকে পাওয়াটা শ্রীলংকার পুরো ক্রিকেট দলেরই একটা ভাগ্য। কুমারের মত একজন চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়ের সাথে একই সঙ্গে খেলতে পেরে আমি নিজকে ধন্য মনে করছি।’
নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বিদায়ে কিছুটা আবেগ প্রবণ হয়ে পড়লেও আসন্ন সিরিজে ভারতকেই ‘এগিয়ে’ রাখতে ভোলেননি জয়াবর্ধনে। উল্লেখ্য, তারা দু’জনে যৌথভাবে কলম্বোতে মিস্ট্রি অব ক্রাবস নামে একটি রেস্টেুরেন্ট চালান।
৩৮ বছর বয়সী জয়াবর্ধনে বলেন, ‘আমি মনে করছি সিরিজটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। তবে দলটি কিছুটা বেশি থিতু হওয়াতে ভারত কিছুটা এগিয়ে আছে। পক্ষান্তরে শ্রীলংকার বর্তমান দলটি একটি পরিবর্তনকালীন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তাই থিতু হতে তরুণ খেলোয়াড়রা কিছুটা সময় নিচ্ছে। আশা করছি সিরিজ জয়ের মাধ্যমে দলটি সাঙ্গাকারাকে যথার্থ বিদায় দেবে।’
জয়াবর্ধনে বলেন, যে কোনো পরিবর্তনকালীন সময়েই কিছুটা ধৈর্য্য ধরতে হয়। শচিন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড় এবং ভি ভিএস লক্ষণের অবসরের পর ভারতীয় দলের নতুন ব্যাটসম্যানরা আরো শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এজন্য তাদের কিছুটা সময় দিতে হয়েছে। তার নিজ দেশের দলটিও একইভাবে এগিয়ে যাবে বলে আশা করছেন সাবেক এই লংকান অধিনায়ক।’
তিনি বলেন, ‘তরুণদের মধ্যে অনেক বিনিয়োগ করা হয়েছে এবং কিছু ভাল খেলোয়াড় বেরিয়ে এসেছে। তারা ফিট থাকতে এবং ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে সেটা অবশ্যই শ্রীলংকার ভবিষ্যত ক্রিকেটের জন্য ভাল হবে।’ সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস - See more at:
আগামী বুধবার শুরু হতে যাওয়া ভারতের বিপক্ষে তিন টেস্ট সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন টেস্টে ১২ হাজার এবং ওয়ানডেতে ১৪ হাজারের বেশি রান সংগ্রহকারী সাঙ্গাকারা।
দীর্ঘ দিনের সতীর্থের প্রতি সংগ্রামী অভিনন্দন জানিয়ে ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া একান্ত এক সাক্ষাৎকারে সাবেক লংকান অধিনায়ক জয়াবর্ধনে বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করেই বলছি, এ যাবতকালে শ্রীলংকার সেরা ব্যাটসম্যান সাঙ্গাকারা। আমার মত অধিকাংশ শ্রীলংকানের মতেই অরবিন্দ ডি সিলভা একজন সেন্টিমেন্টাল ফেভারিট হিসেবে বিবেচিত হবেন। তবে নাম্বারের দিক থেকে একমাত্র সাঙ্গাকারই ফেনোমেনাল কিছু অর্জন করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা ৬০ এর বেশি (টেস্টে ৩৮ ওয়ানডেতে ২৫)। এই অবিশ্বাস্য সংখ্যাগুলোর দিকে তাকান।’
নিজে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রায় ২৫ হাজারের কাছাকাছি রান করা জয়াবর্ধনে বলেন, সাঙ্গাকারা সঠিকভাবে চিন্তা করেই বাউন্ডারি মারেন এবং লংকার ভবিষ্যত ক্রিকেটারদের জন্য বাস্তবায়নযোগ্য লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘কুমারের সবচেয়ে বড় গুন বা গ্রেটনেস হচ্ছে যে কোনো বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে সকল প্রকার কন্ডিশনেই রান করার সক্ষমতা। সত্যিই ভেবে-চিন্তে নিশ্চিত করেই তিনি বাউন্ডারি হাঁকাতে পারেন এবং ভবিষ্যত ক্রিকেটারদের জন্য কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা বাতলিয়ে দিয়েছেন।
‘আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে স্বল্প কিছু সংখ্যক ব্যক্তি আছেন যারা সব ক্ষেত্রেই এ ধরনের গ্রেটনেস অর্জন করতে পেরেছেন। হতে পারে এটা মাঠে পারফরমেন্স দিয়ে অথবা ব্যবহার দিয়ে। কুমার সেই ধরনেরই একজন খেলোয়াড়। তার শূন্য স্থান পূরণ হতে কিছু সময় লাগবে। আমি মনে করি তাকে পাওয়াটা শ্রীলংকার পুরো ক্রিকেট দলেরই একটা ভাগ্য। কুমারের মত একজন চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড়ের সাথে একই সঙ্গে খেলতে পেরে আমি নিজকে ধন্য মনে করছি।’
নিজের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বিদায়ে কিছুটা আবেগ প্রবণ হয়ে পড়লেও আসন্ন সিরিজে ভারতকেই ‘এগিয়ে’ রাখতে ভোলেননি জয়াবর্ধনে। উল্লেখ্য, তারা দু’জনে যৌথভাবে কলম্বোতে মিস্ট্রি অব ক্রাবস নামে একটি রেস্টেুরেন্ট চালান।
৩৮ বছর বয়সী জয়াবর্ধনে বলেন, ‘আমি মনে করছি সিরিজটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। তবে দলটি কিছুটা বেশি থিতু হওয়াতে ভারত কিছুটা এগিয়ে আছে। পক্ষান্তরে শ্রীলংকার বর্তমান দলটি একটি পরিবর্তনকালীন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তাই থিতু হতে তরুণ খেলোয়াড়রা কিছুটা সময় নিচ্ছে। আশা করছি সিরিজ জয়ের মাধ্যমে দলটি সাঙ্গাকারাকে যথার্থ বিদায় দেবে।’
জয়াবর্ধনে বলেন, যে কোনো পরিবর্তনকালীন সময়েই কিছুটা ধৈর্য্য ধরতে হয়। শচিন টেন্ডুলকার, রাহুল দ্রাবিড় এবং ভি ভিএস লক্ষণের অবসরের পর ভারতীয় দলের নতুন ব্যাটসম্যানরা আরো শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। এজন্য তাদের কিছুটা সময় দিতে হয়েছে। তার নিজ দেশের দলটিও একইভাবে এগিয়ে যাবে বলে আশা করছেন সাবেক এই লংকান অধিনায়ক।’
তিনি বলেন, ‘তরুণদের মধ্যে অনেক বিনিয়োগ করা হয়েছে এবং কিছু ভাল খেলোয়াড় বেরিয়ে এসেছে। তারা ফিট থাকতে এবং ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে সেটা অবশ্যই শ্রীলংকার ভবিষ্যত ক্রিকেটের জন্য ভাল হবে।’ সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস - See more at:
0 Comment to "বিদায়ের প্রাক্কালে সাঙ্গাকারাকে সংগ্রামী অভিনন্দন জয়াবর্ধনের"
Post a Comment